সিকেল সেল অ্যানিমিয়াউত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সিকেল সেল রোগের একটি প্রকার। এটি লোহিত রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনকে প্রভাবিত করে। কারণ এটি বংশগত, অন্যান্য রক্তাল্পতা বিভিন্ন ধরনের. কারণ এটি জেনেটিক এবং পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানদের কাছে চলে যায়।
এখন সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার চিকিত্সা কোনটি লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে এবং জটিলতাগুলি কমাতে চিকিত্সার বিকল্প রয়েছে।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগীলোহার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, জিঙ্ক,তামা, ফলিক অ্যাসিড, পাইরিডক্সিন, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই যেমন পুষ্টির ঘাটতি।
সুষম খাদ্য; যেমন বিলম্বিত বৃদ্ধি এবং বিকাশ, হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস, ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বৃদ্ধি, দৃষ্টি সমস্যা, সংক্রমণের সংবেদনশীলতা। সিকেল সেল অ্যানিমিয়াজটিলতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া কি?
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এটি হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির অংশ। হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি বিকশিত হয় যখন একজন ব্যক্তি পিতামাতার কাছ থেকে কমপক্ষে একটি "ত্রুটিপূর্ণ" কাস্তে (S) বিটা-গ্লোবিন জিন এবং আরেকটি অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন জিন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়, যা লাল রক্তকণিকা কীভাবে কাজ করে তা প্রভাবিত করে।
যাদের সিকেল সেল রোগ আছে তারা অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। সিকেল সেল রোগগুলি বিকৃত অর্ধচন্দ্রাকার, অস্বাভাবিক আকৃতির লাল রক্তকণিকা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই আকৃতিটি শিরাগুলির মধ্য দিয়ে রক্ত যাওয়া কঠিন করে তোলে।
কাস্তে আকৃতির লাল রক্তকণিকা শক্ত এবং ভঙ্গুর। যদিও এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমায়, এটি রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়।
কারা সিকেল সেল অ্যানিমিয়া পায়?
শিশুরা সিকেল সেল রোগের ঝুঁকিতে থাকে যদি বাবা-মা উভয়েরই সিকেল সেল বৈশিষ্ট্য থাকে।
আফ্রিকা, ভারত, ভূমধ্যসাগর এবং সৌদি আরবের মতো স্থানীয় ম্যালেরিয়া সহ অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরা বাহক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার লক্ষণ এটি সাধারণত প্রকাশ করে:
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
আগুন
ফোলা এবং শোথ
শ্বাসকষ্ট যা নড়াচড়া করা কঠিন করে তোলে এবং বুক ব্যাথা
জয়েন্ট এবং হাড়ের ব্যথা
পেটে ব্যথা
দৃষ্টি সমস্যা
বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের বিপর্যয়
দুর্বল রক্ত সঞ্চালনের কারণে ত্বকে ক্ষত তৈরি হয়
জন্ডিসের লক্ষণ
প্লীহা বৃদ্ধি
ব্লকড রক্তনালীর কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি
লিভারের ক্ষতি, কিডনির ক্ষতি, ফুসফুসের ক্ষতি এবং পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি
যৌন কর্মহীনতা
শিশুদের মধ্যে বিকাশজনিত সমস্যা, যেমন বাহু ও পায়ের অনুপাতে ট্রাঙ্ক ছোট হয়ে যাওয়া
স্ট্রোক, খিঁচুনি, এবং উপসর্গ যেমন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অসাড়তা, কথা বলতে অসুবিধা এবং চেতনা হারানোর ঝুঁকি বেশি।
বর্ধিত হৃৎপিণ্ড এবং হৃদপিণ্ডের মর্মারের জন্য উচ্চ ঝুঁকি
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার কারণ
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, এটি একটি জেনেটিক ব্যাধি। এটি লাইফস্টাইল বা পুষ্টির কারণগুলির কারণে নয়, তবে কিছু নির্দিষ্ট জিনের উত্তরাধিকার দ্বারা সৃষ্ট হয়। একটি শিশুর সিকেল সেল অ্যানিমিয়ারোগটি পেতে, এটি অবশ্যই উভয় পিতামাতার কাছ থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হতে হবে।
যখন একটি শিশু শুধুমাত্র একজন পিতামাতার কাছ থেকে একটি ত্রুটিপূর্ণ জিন উত্তরাধিকারসূত্রে পায়, তখন তাদের সিকেল সেল রোগ হবে কিন্তু সম্পূর্ণ লক্ষণ দেখাবে না। কিছু লোহিত রক্ত কণিকা এবং হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকবে। অন্যরা বিকৃত হবে।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া কীভাবে চিকিত্সা করা হয়?
যেহেতু সিকেল সেল রোগ নিরাময় করা যায় না, তাই চিকিৎসার লক্ষ্য হল "সিকেল সেল সংকট” প্রতিরোধ এবং জীবনের মান উন্নত করতে লক্ষণগুলি হ্রাস করা।
সিকেল সেল সংকট অথবা জরুরী অবস্থা দেখা দিলে, রোগীদের হাসপাতালে থাকতে হবে এবং তরল ও ওষুধ গ্রহণের সময় তাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সবচেয়ে স্পষ্ট উপসর্গ হ'ল হঠাৎ, পেটে এবং বুকে তীক্ষ্ণ ব্যথা। কিছু ক্ষেত্রে, রোগীর অক্সিজেনের পাশাপাশি রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। অন্যান্য চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত:
হাইড্রক্সিউরিয়া ওষুধ: এটি হিমোগ্লোবিনের একটি ফর্মের উৎপাদন বাড়ায়, যা লাল রক্তকণিকাকে কাস্তে আকৃতির হতে বাধা দেয়।
অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন: অস্থি মজ্জা বা স্টেম সেল পরিবারের একজন সদস্যের কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে যার রোগ নেই এবং রোগীর মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি। এটির জন্য ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দমন করে এবং দেহকে প্রতিস্থাপিত কোষগুলির সাথে লড়াই করা থেকে বাধা দেয়।
জিন থেরাপি: এটি পূর্ববর্তী কোষগুলিতে জিন স্থাপন করে করা হয় যা স্বাভাবিক লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসা
রক্তাল্পতার জন্য খাদ্য
পুষ্টি, সিকেল সেল অ্যানিমিয়াএটি উন্নতি করতে সাহায্য করে না। তবে এটি লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে এবং আরও জটিলতা প্রতিরোধ করতে দেয়। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এর জন্য পুষ্টি টিপস:
পর্যাপ্ত ক্যালোরি পান।
বিভিন্ন ধরণের এবং প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খান।
পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন।
ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খান, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত বি ভিটামিন পেতে শস্য, শিম এবং পশু প্রোটিন উত্স গ্রহণ করুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিনিযুক্ত খাবার, পরিশোধিত শস্য, ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না।
পুষ্টিকর সম্পূরক ব্যবহার
একটি স্বাস্থ্যকর এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্যের পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরণের সম্পূরকগুলির সুপারিশ করেন যা ঘাটতিগুলি চিকিত্সা করতে পারে, হাড়কে রক্ষা করতে পারে এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক প্রভাব প্রদান করতে পারে:
ভিটামিন ডি
ক্যালসিয়াম
ফোলেট/ফলিক অ্যাসিড
ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড
ভিটামিন B6 এবং B12
তামা, দস্তা এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ মাল্টিভিটামিন
ব্যথা কমাতে অপরিহার্য তেল
সিকেল সেল অ্যানিমিয়াজয়েন্টের শক্ততা, পেশী দুর্বলতা, হাড়ের ব্যথা এবং পেটে বা বুকে ব্যথা হতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধগুলি ঘন ঘন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় না কারণ তারা কিডনি এবং লিভারের কার্যকারিতাকে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
অপরিহার্য তেলএটি ব্যথা উপশম করার পাশাপাশি খিটখিটে ত্বকের চিকিত্সা করে, অনাক্রম্যতা উন্নত করে এবং শিথিলতা প্রচার করে।
পুদিনা তেলপেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এটি ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় তেল যা উপসর্গগুলিকে সাহায্য করে তার মধ্যে রয়েছে প্রদাহ কমাতে লোবান; এতে চাপ দূর করতে ল্যাভেন্ডারের মতো রিফ্রেশিং সাইট্রাস তেল এবং ক্লান্তি কমাতে কমলা বা জাম্বুরা রয়েছে।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার জটিলতাগুলি কী কী?
সিকেল সেল অ্যানিমিয়াএটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করে যা ঘটে যখন কাস্তে কোষ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তনালীগুলিকে আটকে রাখে। বেদনাদায়ক বা ক্ষতিকারক ব্লকেজ সিকেল সেল সংকট এটা তোলে বলা হয়।
নিম্নলিখিতগুলি হল সিকেল সেল অ্যানিমিয়াযে অবস্থা থেকে উদ্ভূত হতে পারে:
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাএছাড়াও সংক্রমণ এবং রোগ উন্নয়নশীল একটি উচ্চ ঝুঁকি আছে. এই লোকেরা অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন আপনার হাত ধোয়া, প্রচণ্ড গরম এবং ঠান্ডা থেকে দূরে থাকা, তীব্র ব্যায়াম না করা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
যদি নিম্নলিখিত উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি দেখা দেয় (বিশেষত শিশুদের মধ্যে), অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
38.5 ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি জ্বর
শ্বাসকষ্ট এবং বুকে এবং পেটে ব্যথা
গুরুতর মাথাব্যথা, দৃষ্টি পরিবর্তন এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা
